শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ঈদে হোটেল মোটেলে অগ্রিম বুকিং : পর্যটক বরণে প্রস্তুত

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে এভাবে জনশুন্য হয়ে পড়ে-ছবি:কক্সবাজার ভয়েস ডটকম।

আবদুল আজিজ:

পর্যটনের শেষ মৌসুম ও পবিত্র রমজান মাসে কক্সবাজারে পর্যটক শুন্য দেখা দিলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এজন্য হোটেল-মোটেল রিসোর্ট গুলো ধোয়া-মুছা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ পর্যটক বরণে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঈদের পর থেকে সপ্তাহ দুয়েকের জন্য হোটেল গুলোর অগ্রিম বুকিং চলছে। চলমান হোটেলের কক্ষ অগ্রিম বুকিং ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে শতভাগ হোটেল বুকিং হয়ে যাবে বলে আশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। এতে করে পবিত্র রমজান মাসে পর্যটক শূন্যতার ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

চলতি বছর ঈদুল ফিতর আগামী ২ মে অথবা ৩ মে উদযাপিত হতে পারে। আসন্ন এই ঈদের পর সরকারি ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটক সমাগম হতে পারে। তাই, পর্যটকদের বরণ করতে সৈকত নগরীর ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস প্রস্তুত। এবারের ঈদের ছুটি দিয়েই কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুম শেষ হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার সৈকতের কিটকট ব্যবসায়ী ফয়েস আহমদ কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘এ বছর ঈদে আশা করছি ব্যবসা ভাল হবে। অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় এবারের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে পারে ।’

সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘রমজানের পর্যটক না থাকায় বেচাকেনা হয়নি। তাই দোকান বন্ধ রাখা রয়েছে। তবে ঈদের পরে ব্যবসার জন্য নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

তারকা মানের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের ম্যানেজার মো.আসাদুজ্জামান কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘বিগত একমাস পবিত্র রমজান মাসে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারেনি পর্যটকরা। এখন ঈদের পরে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবে। এজন্য আমাদের হোটেলে বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে।’

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘এখন গরমের সময়। এছাড়াও পর্যটনের শেষ মৌসুম। এরপরও ঈদের পরের দুই সপ্তাহ লাখো পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু হোটেল-মোটেলের সবকটি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে, আবার কিছু কিছু হোটেলে আশানুরূপ হোটেল বুকিং হয়নি। সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হোটেল-মোটেলর কক্ষ বুকিং হয়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে ঈদের সময় পর্যন্ত শতভাগ হোটেল বুকিং হতে পারে।’

কক্সবাজার কলাতলী হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিম খান কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘এখন পর্যটনের শেষ মৌসুম। তার উপর পবিত্র রমজান মাস হযওয়ায় গত মাস দুয়েক ধরে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। এতে করে কক্সবাজারে গড়ে ওঠা পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়ে। কিন্তু, আসন্ন ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে বিপুল পরিমাণ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একটি মধ্যে ৬০ শতাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। হোটেল গুলোতে বুকিং আরো বাড়তে পারে। তাই কক্সবাজারে আগত পর্যটক বরণে হোটেল মালিকরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটকশূন্য থাকার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের সাজসজ্জাসহ সব ধরনের মেরামতে কাজ হয়ে থাকে। সাজসজ্জার প্রস্তুতি কাজ প্রায় শেষ। ইতোমধ্যেই হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের আগের দিনগুলোতে বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হতে পারে।’

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘রমজানে পর্যটকের উপস্থিতি কম হলেও ঈদের ছুটিতে পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই পর্যটকের সেবা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছে প্রশাসন। পর্যটকের কাছ থেকে হোটেল-মোটেলগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION